আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েও সুখে নেই ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিনিয়তই বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত হচ্ছেন। অবশ্য সুযোগ পেলেই নিজের ক্ষমতা প্রদর্শন করতেই ছাড়ছেন না ট্রাম্প। তবে, ফেড প্রধান নির্বাচন করতে যেয়ে যে ডলারকে শক্তিশালী করে ফেলছেন, সেটা কি ট্রাম্প নিজেও জানেন? তাহলে তো টুইটারে এটার ক্রেডিট নিয়েও একটা টুইট আসতো!
ফরেক্স মার্কেটে বর্তমান ঘটনা হচ্ছে, ডলার শক্তিশালী হচ্ছে আর ইউরো দুর্বল হচ্ছে। ইউরোর দিনকাল এমনিতেই গত কয়েকদিনে বেশ মন্দ হচ্ছে।তবে গত সপ্তাহেই এই বছরের সবচেয়ে বড় সাপ্তাহিক মুল্যপতন হয়েছে ইউরোর, EUR/USD নেমে গিয়েছিল ১.১৫৮৬ এ।
Image may be NSFW.
Clik here to view.
Clik here to view.

গত বছরের শেষ দিক থেকে শুরুর দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুততর প্রত্যাশিত আর্থিক সহায়তার সমর্থনকারী ক্রেতারা এবং ব্যবসায়ের ব্যয় সম্পর্কে তথ্য জানানোর পর শুক্রবার মূল্যের মুদ্রানীতির বিপরীতে ডলারের দাম বেড়েছে।
মার্কিন ডলার সূচক, যা একটি বাণিজ্য ভিত্তিক সংস্থা গ্রীনব্যাক এর শক্তিমত্তার পরিমাপ করে তা ছয়টি প্রধান কারেন্সি এর বিরুদ্ধে বেড়ে দাড়িয়েছে ০.০৩% থেকে ৯৪.৯২ পর্যন্ত।
গত শুক্রবার বাণিজ্য বিভাগ তাদের প্রাথমিক হিসেবে জানিয়েছে, জুলাই-সেপ্টেম্বর এর মধ্যে গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট অর্থাৎ সকল দেশীয় পণ্যের বার্ষিক দাম ৩% বৃদ্ধি পেয়েছে। যা অর্থনীতিবিদদের প্রত্যাশিত ২.৫% এর চেয়ে বেশি ছিল।
একটি সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায় যে, আগামী ফেব্রুয়ারীতে বর্তমান ফেডারেল চেয়ারম্যান জ্যানেট ইয়েলেনের সময় শেষ হওয়ার পর তার পরিবর্তে সেই স্থানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর পছন্দের তালিকায় রয়েছেন ফেডারেল গভর্নর জেরোম পাওয়েল এবং স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির অর্থনীতিবিদ জন টেইলর। ট্রাম্প নভেম্বরের শুরুতে এশিয়ার একটি সফরের আগে প্রার্থী ঘোষণা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তাহলে কে হবে আগামী ফেডারেল চেয়ারম্যান সেটা জানার জন্য আমাদেরকে ট্রাম্পের আসন্ন ঘোষণার জন্যই অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
ডলারের দাম টানা ২য় সপ্তাহে বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে এবং সামনে এর আভ্যন্তরীণ মূল্য আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মতামত ব্যক্ত করেছেন। এসিএলএস গ্লোবালের প্রধান কৌশলবিদ মার্শাল গিটলার বলেন, “আমি মনে করি ডলার এখন খুবই ভাল একটি অবস্থান এর মধ্যে রয়েছে এবং আরও মধ্যমেয়াদী লাভ হবে কিনা সেই ব্যাপারটা আমার কাছে খানিকটা ঘোলাটে। সপ্তাহ শেষের আগে কিছু লাভ এবং অবস্থার অবসান ঘটতে পারে। যাইহোক, এটি একটি দারুন সপ্তাহ ছিল ডলারের জন্য, যা অন্যান্য সমস্ত জি-১০ মুদ্রার বিপরীতে ডলারকে শক্তিশালী করেছে”।
ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বন্ডের দাম কমে যাওয়ার এবং বৃহস্পতিবার ইসিবি সভাপতি মারিও দ্রাঘির কিছুটা বিব্রতকর মন্তব্যের পর ক্রমবর্ধমান ডলারের বিপরীতে ইউরোর মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে, যা ইউরোর জন্য আশংকাজনকই বটে।
ইউরো/ডলার ৩ মাসের সর্বনিম্ন ১.১৫৮৬ এর নিচে ০.৫৭% কমে যায়, ইউরো/পাউন্ড ০.১৬% কমে ০.৮৮৩৯ তে নেমে আসে। পাউন্ড/ডলার ০.৩৭% কমে ১.১৩১২, ডলার/ইয়েন ১১৩.৯৭ প্রাইসে ট্রেড হয়েছে। বুধবার সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার জন্য কানাডার ব্যাংকের সিদ্ধান্তের পর ডলার/ক্যাড ০.২০% কমে ১.২৮৭২ প্রাইসে ট্রেড হয়েছে।
তো এই ছিল আমাদের আজকের ফরেক্স আপডেট। আশা করি আপনারা এতক্ষণে পুরো বিষয়টি বুঝে গিয়েছেন যে, কে হতে পারে আগামী ট্রাম্প এর নির্বাচিত ফেড প্রধান এবং ২০১৭ সালের ইউরো এর সবচেয়ে বড় পতন সম্পর্কে। এভাবে ফরেক্স এর সকল আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। ফরেক্স এর আপডেট সম্পর্কে আপনার যে কোন মতামত আমাদের জানাতে ভুলবেন না। নিজের খেয়াল রাখুন এবং ভাল বিষয়গুলো সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিন।